আব্দুর রহমান আল হাসান ।
ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ।এটি তাদের সংক্ষিপ্ত
নাম । এর পূর্ণরূপ হলো , হারাকাতুল মুকাওয়ামাতিল ইসলামিয়্যা ফী ফিলাস্তীন (ফিলিস্তিনে
ইসলামী স্বাধীনতার লড়াই) । এই সংগঠনের সদস্যরাই এখন পর্যন্ত ইহুদিদের বিরুদ্ধে জিহাদ
করে যাচ্ছে ।
এই তো গত ৬ই ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ট ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা দেয় । এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে মুসলিম বিশ্ব । বিভিন্ন মুসলিম
রাষ্ট্রগুলো থেকে জানানো হয় নিন্দার পর নিন্দা । আসলে তারা যেন পুরোনো আগুনকে নতুনভাবে
প্রজ্জ্বলিত করেছে । ফিলিস্তিনের জনগণ এ ঘোষণা শুনে মারাত্মক ক্ষেপে যায় ।
তখনই তৃতীয় ইনতিফাদার ডাক দেয় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী
সংস্থা হামাস । ইনতিফাদা মানে গণঅভ্যুত্থান বা শাহাদাতের পূ্র্ণ প্রস্তুতি নিয়ে বিরোধী
শক্তির বিরুদ্ধে আত্মঘাতি হামলা ও সর্বাত্মক প্রতিরোধ । সর্বপ্রথম ইনতিফাদার ডাক আসে
হামাসের পক্ষ থেকে ১৯৮৭ সালে , তার উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের
সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপ্রধানের শান্তিচুক্তি (মানে স্বাধীনতা খর্ব করার মত অন্যায়
প্রচেষ্টা সম্পাদনের ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো । এই ইনতিফাদা অব্যাহত থাকে ১৯৯৪ সন
পর্যন্ত । সে সময় ছোট ছোট শিশুরাও পাথর হাতে ইসরাইলের সেনাদের উপর হামলা করতো । ইহুদীরা
তো এমনেতেই ভীতু জাতি । মুসলিম শিশুদের এই সাহসী ভূমিকা দেখে তারা অবাক হয়ে যেতো ।
ইহুদী সন্ত্রাসবাদী লিকুইড পার্টির নেতা ‘এরিয়েল শ্যারন ‘ বাইতুল মাকদিস প্রবেশের প্রতিবাদে
হামাস ২০০০ সালে ডাক দেয় দ্বিতীয় ইনতিফাদার । জিহাদ ও শাহাদাতের প্রেরণায় ফিলিস্তিন
ও মুসলিম বিশ্বের উদ্দীপ্ত শিশু-কিশোর , তরুণ এবং সাধারণ জনগণের ত্যাগের মাধ্যমে এই
ইনতিফাদা অব্যাহত থাকে ২০০৬ সন পর্যন্ত । এসব ইনতিফাদা বারবারই প্রমাণ করেছে যে , মুসলিম
বা ফিলিস্তিনীরা ভীতু জাতি নয় , তাদের বুকের শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত তারা ফিলিস্তিন
এবং আল আকসার জন্যে জিহাদ করে যাবে ।
আমাদের এদের থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত । কারণ হামাস এমন এক সংগঠন , যারা ফিলিস্তিনের ও মুসলিম বিশ্বের মুসলমানদের ধর্মীয় আবেগ ও স্পন্দনকে অনুসরণ করে চলে । যারা মুসলমানদের স্থানে কোনো আঘাত সইতে প্রস্তুত নয় । একই সাথে হামাস এমন সংগঠন , যাদের ডাকে সর্বস্তরের জনগণ সর্বস্তরের জনগণ নিজেদের অস্ত্রস্বল্পতা সত্ত্বেও জিহাদে ঝাঁপিয়ে পড়ে । এ ইসরাইল আজ পর্যন্ত ফিলিস্তিনকে পূ্র্ণভাবে দখল করতে পারি নি । ইনশাল্লাহ পারবেও না । আমাদের উচিৎ তাদের কাছ থেকে শিক্ষা নেয়া , ধর্মীয় আবেগকে সর্বাগ্রে অগ্রাধিকার দেয়া । ধর্মের টানে সবার একসাথে এক সারিতে কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো । আমরা যদি এমনটা করতে পারি তবেই সৌভাগ্য আমাদের পদচুম্মন করবে ।
ওয়েবসাইট আপলোড , আব্দুর রহমান আল হাসান
পাওয়ার ডোনেট , www.abdurrahmanalhasan.xyz
0 মন্তব্যসমূহ