আমান উল্লাহ আমান ।
বছর প্রায় শেষ সামনে পরীক্ষা ।লেখাপড়ার চাপ বাড়ছে । এরমধ্যে
একদিন ঘোষণা হলো ,আমাদের বর্ষ থেকে বার্ষিক পত্রিকা বের হবে । তাই সবাইকে লেখা জমা
দিতে হবে । কী লিখব বুঝতে পারছিলাম না । বুঝতে বুঝতে আর খুঁজতে খুঁজতে কয়েকদিন কেটে
গেল ।বোঝা শেষ হলো না , আর আমার লেখা ও হলো না । আসল কথা বলতে আমি এ পর্যন্ত যখন যা
লেখার চিন্তা করেছি তারপরই দেখেছি কেউ না কেউ সেটা লিখে ফেলেছে । কী আর করা ,বসে থাকলে
তো আর লেখা হয় না । তাই লিখতে বসে গেলাম ।
তবুও লিখতে পারছি না । তাই লকার খুলে পুরোনো ডাইরিটা নিলাম ।
ডায়েরী আমার অনেক প্রিয় । মানুষ তার সুখ-দুঃখ বলতে বন্ধু
খোঁজে এবং তার কাছে সুখ দুঃখের সব কথা বলে । কালের আবর্তনে হয়তো সে মানুষটি তার সাথে
বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে । কিন্তু কাগজ তো কথা বলতে পারে না , তাই সে কাউকে কিছু বলে
না । তাই ডায়েরী আমার প্রিয় । তার বুকে সুখ-দুঃখের হাজারো শব্দ লিখে রাখি । সে গেঁথে
রাখে , কাউকে বলে না । বলো, এর চেয়ে মুহসিন
বন্ধু আর কে হতে পারে ?
ডায়েরীর পাতা উল্টাতে উল্টাতে এক পাতায় চোখ আঁটকে গেল
। সে লেখার শিরোনাম হলো , সংখ্যার আলোকে মানবচরিত । অনেকেই হয়তো ভাবছো , এ আবার কেমন
লেখা রে বাবা । আরে একটু পড়েই দেখো না ! লেখাটিকে চার ভাগ করা হয়েছে , আমি এক এক করে
লিখছি ।
প্রথম ভাগ : মানুষ যদি চরিত্রবান হয় তাহলে তার মূল্যমান
এক ।
দ্বিতীয় ভাগ : সে যদি সৌন্দর্য এর অধিকারী হয় তাহলে তার
সাথে একটা শূন্য যোগ হবে , এখন হলো দশ ।
তৃতীয় ভাগ : যদি মানুষটা সম্পদের অধিকারী হয় তাহলে আরেকটা
শূন্য যোগ হবে , এখন হলো একশত ।
চতুর্থ ভাগ : মানুষটা যদি সৎ বংশের হয় , তাহলে আরো একটি
শূন্য যোগ হবে ,এখন হলো এক হাজার ।
যদি এই এক হাজার থেকে এক সংখ্যাটাকে (যেটা চরিত্রের জন্য দেয়া হয়েছে ) সরিয়ে নেয়া হয় তাহলে বাকী থাকবে কয়েকটা মূল্যহীন শূন্য । চরিত্রগুণ ছাড়া মানুষও এমনই মূল্যহীন ।
ওয়েবসাইট আপলোড , আব্দুর রহমান আল হাসান
পাওয়ার ডোনেট , www.abdurrahmanalhasan.xyz
0 মন্তব্যসমূহ