আশা প্রত্যাশা

  


তানভীর আহমাদ ফাহীম ।

সমস্ত প্রশংসা মহান রাব্বুল আলামীনের , যিনি আমাদের সুস্থতা দান করেছেন এবং সকল বিপদ থেকে মুক্তি দিয়েছেন  তাই সর্বদা মুখে তাঁরই তাসবীহ , অন্তরে তাঁরই শুকরিয়া  আজ জুমার নামাজ পড়ার জন্য জামিয়া নূরিয়া মাদরাসার মসজিদে গিয়েছিলাম 

আসার সময় চোখে পড়লো সেই করুণ দৃশ্য , যার জন্য হৃদয় ব্যাথিত হয় , অন্তর বেদনাহত হয়  যা হৃদয়ে তুফান বইয়ে দেয় ঐ লোকদের বিরুদ্ধে যারা নিজেকে সমাজসেবক দাবী করছে , এভাবে প্রথমত নিজেদেরকে এরপর অসহায় জনগণকে ধোঁকায় ফেলছে । নামাজ পড়ে ফেরার সময় দেখলাম কিছু মানুষ রাস্তার পাশে দাড়িঁয়ে আছে দু’এক টাকা ভিক্ষা পাওয়ার জন্য । আহ্ , কি করুণ সে দৃশ্য ! মহান আল্লাহর সৃষ্টি এই যমীনে কি একজন মানুষও নেই , যে তাদের সহায়তা করবে , তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে ? একজনও কি নেই ওমর ইবনে খাত্তাবের মত রহম-দিল ইহসান , বাদশাহ হয়েও যার পরনে থাকতো একটি পোশাক ?!

আজ রাজা-বাদশাহ না হয়েই তাদের পরনে হরেক রকম পোশাক । তাদের ঘরের পোলাও,কোরমা, বিরিয়ানী উচ্ছিষ্ট হয়ে আজ ডাস্টবিনে পড়ে পঁচে । অথচ অসহায় জনগণের মুখে এক মুঠো ভাত জোটে না । তারা লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে আলীশান গাড়ি বাড়ি গড়ে , কোটি কোটি টাকা ব্যাংকে রাখে । কিন্তু কি হবে এত টাকা দিয়ে ? কবরে তো তিনটি কাপড় নিয়েই যেতে হবে । কিইবা হবে তার এই অঢেল সম্পদ থেকে কিছু দান করলে , তার অতিরিক্ত খাবার অন্যের মুখে তুলে দিলে ?! সে কি একটু ভাবে না , তার সম্পদ তার সম্পদ কোথা থেকে এসেছে ? কে তাকে দান করেছেন ? এ সম্পদ কি তার নিজের  ? যদি তার উত্তর হয় হ্যাঁ , তাহলে তো সে দাম্ভিক কারুনের কাতারে শামিল হবে ।

তার কি একটুও আশংকা হয় না , যিনি তাকে এই সম্পদ দান করেছেন , তিনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলে এগুলো ফিরিয়ে নিতে কতক্ষণ ?সে কি একটুও চিন্তা করে না ,যদি সে আজ ঐ ভিখারীর স্থানে থাকতো ,ঐ বৃদ্ধের স্থানে তার বাবা থাকতো , এই অসহায় মহিলার স্থানে তার মা থাকতো ,তারা মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইতো আর লোকেরা তার মতো তাদেরকে ফিরিয়ে দিতো , তাহলে তার  কতটা কষ্ট লাগতো , তার অনুশোচনা কে দেখতো ?

প্রিয় পাঠক ! আজ সমাজ পরিচালনার দায়িত্ব স্বার্থান্বেষী একদল যামিলের হাতে , যাদের হাতে পড়ে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে আমাদের সমাজ । যারা বোঝে শুধু নিজের স্বার্থ , বুঝতে পারে না মানুষের দুঃখ কষ্ট । এই স্বার্থপরদের হাত থেকে দায়িত্ব ছিনিয়ে নিয়ে নতুন করে সমাজ গড়তে হবে । অনাহারির মুখে খাবার তুলে দিতে হবে । এতিমের মুখে হাসি ফোঁটাতে জাগতে হবে আমাদেরকেই , সুতরাং গড়তে হবে নিজেদেরকে সেভাবে । আল্লাহ তাওফীক দান করুন , আমীন ।

পাওয়ার ডোনেট www.abdurrahmanalhasan.xyz

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu